আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আজকের এই আর্টিকেলে সম্প্রতি নতুন মার্কেটে আসা ইনফিনিক্সের চমৎকার একটি মডেল নিয়ে৷ আজকে যাকে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে তার নাম ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো। এই ফোনটি বাজেট অনুযায়ী কেমন হবে, এর স্পেকিফিকেশন হিসাবে কি কি পাবেন, কিনবেন নাকি কিনবেন না, তার সবকিছুই জানার জন্য মনোযোগ দিয়ে লেখাগুলো পড়ুন৷
key features
৮ জিবি র্যাম, ২৫৬ জিবি রম, সুপার অ্যামোলেড ফুল এইচ ডি ডিস্প্লেলে, ৫০০০ mah ব্যাটারি, ৬৮ ওয়াট এর চার্জার৷
ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো এর দাম
আইটেল মোবাইল প্রাইস a60s | আইটেল A60s রিভিউ, দাম, প্রাইস, আইটেল মোবাইল বাংলাদেশ প্রাইস
ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো দেশের অফিশিয়াল মার্কেটে ৮ জিবি র্যাম এবং ২৫৬ জিবি র্যামের ভ্যারিয়েন্টটি পাওয়া যাচ্ছে ২৭,৯৯৯ টাকায়। এটি শুধু এই একটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে৷ এর অন্যান্য কোনো র্যাম ভ্যারিয়েন্ট নেই৷
ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো এর ডিজাইন
ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো এর ডিজাইন প্রথম দেখাতেই সকলেরই পছন্দ করার কথা৷ এর দুইটি কালার ভ্যারিয়েন্ট লঞ্চ করেছে ইনফিনিক্স কোম্পানি৷ একটি কালার ভ্যারিয়েন্ট এর নাম Magic black এবং আরেকটি কালার ভ্যারিয়েন্ট এর নাম Variable Gold ৷ উভয়টি দেখতে খুবই সুন্দর৷ এর ব্যাক প্যানেলে কালার শিফটিং লক্ষ্য করবেন৷ যা এর ডিজাইন কে আরো বেশি আকর্ষণীয় করবে ৷
সিয়াওমি রেডমি নোট ১২ | redmi note 12 series
ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো এর নিচে পাবেন স্পিকার, প্রাইমারি মাইক্রোফোন, ৩.৫ মিমি এর হেডফোন জ্যাকের পোর্ট এবং টাইপ সি চার্জিং পোর্ট৷ উপরে আছে আরো একটি স্পিকার মানে এখানে ডুয়েল স্পিকার বা স্টেরিও স্পিকার অপশন৷ বামে আছে সিম কার্ড় ট্রে এবং ডানে থাকছে ভলিউম বাটন ও পাওয়ার বাটন। পাওয়ার বাটনটিতে সাইড মাউন্টেড ফিংগার প্রিন্ট এর অপশন ইম্পলিমেন্ট করা হয়েছে।
এর ফিংগার প্রিন্ট সেন্সর এর পার্ফরমেন্স খুবই ফাস্ট এবং একুরেট৷ টাচ করার সাথে সাথেই আনলক করে ফেলতে পারে৷ এর ব্যাক প্যানেল টি গ্লাস দিয়ে তৈরি৷ ফলে এতে হাতের ছাপ ভালোই পড়ে৷ ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো এর ক্যামেরা হাউজ টি স্কয়ার শেপের। এতে আছে ৩ টি ক্যামেরা ও একটি ফ্ল্যাশ লাইট৷ ক্যামেরা বাম্পটি একটু বড় হওয়াতে এটি দেখতে কিছুটা খারাপও লাগে বটে। ক্যামেরা বাম্পটি একটু উচু এজন্য ফ্লাট কোনো সার্ফেসে রাখলে কিছুটা সমস্যা হতে পারে এমনকি এখানে স্ক্রাচ পড়তে পারে৷
ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো এর ডিস্পেলে
ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো তে ডিস্পেলে হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চির একটি বিশাল সাইজের অ্যামোলেড ডিসপ্লে। এটির রেজ্যুলেশন 1080 x 2400 pixel । এবং এর পিক্সেল ডেনসিটি ৩৯০ পিপিআই। এতে থাকছে ৯০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস ।
এই ফোনের ডিসপ্লে সেকশনে আরো অফার করছে ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট এর সাপোর্ট। তবে এই ডিসপ্লেটির প্রটেকশন হিসাবে কোন ধরনের গ্লাস প্রটেক্টর আছে সেই বিষয়ে কোনো তথ্য কোথাও নেই তাই সকলেই নিজ দায়িত্বে একটি ভালো মানের স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার করবেন।
ডিসপ্লে সম্পর্কে বলতে গেলে এই ডিসপ্লেটি এক কথায় অসাধারণ। কালার একুরেসি , কালার কনট্রাস্ট সককিছু ছিলো এই দামে অনন্য। এর সাইজ বড় হওয়াতে কনটেন্ট দেখে অনেক বেশি ভালো লাগবে। পাশপাশি যারা গেমিং করেন তারাও ভালো সাপোর্ট পাবেন। এখানে টাচ রেসপন্স জনিত কোনো সমস্যা বা ডিলে আমরা খেয়াল করি নি। এর ডিসপ্লে পাঞ্চহোল তাই বর্তমান ট্রেন্ড অনুযায়ী চলনসই। তাই ডিসপ্লে নিয়ে তেমন কোনো ধরনের অভিযোগ নেই।
ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো এর পারফরম্যান্স
ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো এর পারফরমেন্স সম্পর্কে বলতে গেলে এখানে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ১৩ এবং এতে ইউ আই হিসেবে থাকছে ইনফিনিক্স এর নিজস্ব ইউ আই এক্স ও এস। এই ফোনটিতে প্রসেসর হিসেবে থাকছে মিডিয়াটেক এর হেলিও জি৯৯ যার ট্রানজিস্টর সাইজ হচ্ছে ৬ ন্যানো মিটার। এই প্রসেসরটির সর্বোচ্চ স্পিড ২.২ গিগা হার্জ এবং এটি একটি অক্টোকরের প্রসেসর। এখানে জিপিইউ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে Mali-G57 MC2।
মিডিয়াটেক-এর জি 99 এই প্রসেসর টি মিড বাজেটে একটি পরীক্ষিত প্রসেসর প্রায় সকল মিড টু এন্ট্রি বাজেটের ফোন গুলোতে জি৯৯ খুবই ভালো পারফরম্যান্স রেগুলার লাইফে পাওয়া যায়। গেমিং এর ক্ষেত্রে হেভি গেমিং এর সময়েও এটি মোটামুটি মানের সাপোর্ট দিতে পারে। এই ফোনটিতে পাবজি খেলার সময় আমরা গ্রাফিক্স হিসেবে সর্বোচ্চ এইচডি এবং ফ্রেম রেট হিসেবে আল্ট্রা দিয়ে খেলতে পেরেছি। এই সেটিং এ খেলার সময় ভালই সাপোর্ট প্রথম দিকে পাওয়া যায় তবে অনেক লং টাইম ধরে খেললে টুকটাক লেক করতে পারে এবং পারফরম্যান্স ড্রপ করতে পারে। খুব বেশি লম্বা সময় ধরে খেললে হালকা হিট জেনারেট হয় তখন আরো বেশি ফ্রেম ড্রপ করে।
আমরা এতে আরো খেলেছি কল অফ ডিউটি, asphalt 9 , ফ্রি ফায়ার এবং ই-ফুটবল বা পেস। তুলনামূলকভাবে এই গেমগুলো ভালোমতো অপটিমাইজ হওয়াতে ভালোভাবেই খেলা যায়। এগুলো গেমে আমরা কোন ধরনের কোন ইস্যু পাইনি। এগুলো খুব ভালোভাবেই খেলতে পারবেন।
ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো তে র্যাম ব্যবহার করা হয়েছে ৮ জিবি এবং রম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ২৫৬ জিবি। ৮ জিবি র্যাম থাকায় খুব ভালো মতো মাল্টিটাস্কিং করা যায়। এর র্যাম এর অপটিমাইজেশন ভালো ফলে ব্যাক গ্রাউন্ড এ অ্যাপ রেখে চলে গেলে আপনি আপনি সেটা রিমুভ হয় না। রম অনেকে বেশি থাকায় লং রানে ভালোভাবেই ইউজ করা যাবে এবং অনেক বেশি পরিমাণে ভিডিও বা ছবি আপনি সংরক্ষণ করতে পারবেন।
ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো এর ব্যাটারি
under 10k mobile in bd | best phone under 10000 in Bangladesh 2023
ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো তে ব্যবহার করা হয়েছে ৫০০০ মিলি এম্পিয়ারের বিশাল বড় ব্যাটারি। এর ব্যাটারি টাইপ হলো লিথিয়াম পলিমার নন রিমুভ্যবল। এবং এতে চার্জার হিসেবে আছে ৬৮ ওয়াটের বড় ফাস্ট চার্জার। এই চার্জার দিয়ে একে ফুল চার্জ করতে প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ মিনিটের মত সময় লাগছিল। এবং ফুল চার্জ করার পরে একটানা হেবি ইউসে অর্থাৎ গেম খেলে ভিডিও দেখে আমরা ব্যাটারি ব্যাকআপ পেয়েছি প্রায় ৭ থেকে ৮। আপনি যদি একজন রেগুলার ব্যবহারকারী হন তাহলে এই ব্যাকআপ আপনাকে দুই দিন পর্যন্ত দিতে পারবে সহজেই।
এছাড়া এতে থাকছে ১৫ ওয়াটের ওয়ারলেস চার্জিং সাপোর্ট। আপনার কাছে ১৫ ওয়াট পর্যন্ত যদি ওয়ারলেস চার্জার থাকে তাহলে এই ফোনটিকে অনায়াসে চার্জ করতে পারবেন। এছাড়াও এখানে রিভার্স চার্জিং এর অপশন থাকছে ফলে আপনি চাইলে পাওয়ার ব্যাংক হিসেবেও কাজ চালাতে পারবেন এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। অর্থাৎ আপনার যদি কোন স্মার্ট ওয়াচ থাকে কিংবা এই ধরনের কোন যন্ত্র কিংবা আপনি চাইলে অন্য কোন মোবাইলেও এই ফোন দিয়ে রিভার্স চার্জিং এর সাহায্যে চার্জ করতে পারবেন।
এর ভিতরে আপনি পাবেন এমন একটি অপশন যা সাধারণত এই বাজেটের ফোনে পাওয়া দুষ্কর। আর সেই অপশনটি হল আপনি চাইলে এই মোবাইলটিকে চার্জে বসিয়েও ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যান্য ফোনে আমরা দেখি চার্জে বসালে ফোন অতিরিক্ত গরম হয়। কিন্তু এখানে এই বিশেষ টেকনোলজির ব্যবহারের কারণে চার্জে লাগিয়ে রাখলেও ফোনটি ঠান্ডা থাকবে এবং আপনার ব্যাটারিও সুরক্ষিত থাকবে
ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো এর ক্যামেরা
ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো এর রেয়ার এ ব্যবহার করা হয়েছে ট্রিপল সেটআপের ক্যামেরা। যার মেইন সেন্সরি ১০৮ মেগাপিক্সেলের এবং অন্য দুইটি ক্যামেরা হল ২ মেগাপিক্সেলের করে ডেপথ এবং ম্যাক্রো ক্যামেরা যা তেমন কোন কাজের না। এর মেইন ক্যামেরার ছবিগুলোতে খুব ভালো মানের সামনে এবং ডিটেলস পাওয়া যায়। ডায়নামিক রেঞ্জ মোটামুটি মানের। কিন্তু ছবিগুলো কিছুটা কালার বুস্ট করে বলে মনে হয়। অর্থাৎ একেবারেই ন্যাচারাল ছবি এতে পাওয়া যায় না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ওয়ার্মটোন খেয়াল করা যায়। এজ ডিটেকশন ছিল মোটামুটি মানের। ব্যাকগ্রাউন্ড কে বেশ ভালোভাবেই ব্লার করতে পারে এবং সাবজেক্টেও খুব ভালোভাবেই আলাদা করতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেইন অবজেক্টকে কিছুটা সফট করে ফেলে। এর ম্যাক্রো শুটার মাত্র ২ মেগাপিক্সেলের হওয়ায় তেমন কোন কাজের না কেউ যদি এতে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে চান তাহলে মেইন ক্যামেরাকেই ব্যবহার করবেন তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন।
ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো এর সামনে ব্যবহার করা হয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেলের একটি সেলফি শুটার। এটিরও শার্পনেস এবং ডিটেইলস মেইন ক্যামেরার মতোই ভালো। এখানেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটু বেশি ওয়ার্মটোন খেয়াল করা যাচ্ছিল। সেলফি গুলোতে কালার বুস্ট করায় একদম সোশ্যাল মিডিয়া রেডি টাইপের ছবি পাওয়া যায় তাই অনেকেরই এটি ভালো লাগবে। যারা ন্যাচারাল ছবি পছন্দ করেন তাদেরকে কিছুটা হতাশ করবে এই স্মার্টফোনটির ক্যামেরা। এছাড়া নাইট মোডে ছবি তুললে সেখানে ইনফিনিক্স এর অন্যান্য ফোন গুলোর তুলনায় এটির পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে অনেক বেশি ভালো। নয়েজের দেখা তুলনামূলক কম পাওয়া যায়।
পেছনের ক্যামেরায় সর্বোচ্চ 2k 30 এম পি এস এ ভিডিও করা সম্ভব। ভিডিওতে ওআইএস বা তেমন রকমের কোন স্টেবলাইজার না থাকায় হালকা শেক করে। তাই শক্ত হাতে ভিডিও করতে হবে তাহলে কাজ চালানোর মতো ভিডিও পাবেন। সামনের ক্যামেরা দিয়ে সর্বোচ্চ 1080 পিক্সেল এ ভিডিও করা যায়।
ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো এর অন্যান্য কিছু বৈশিষ্ট্য
১। এই মোবাইল ফোনটিতে আপনারা পাবেন দুইটি সিম ব্যবহারের পাশাপাশি একটি আলাদা মেমোরি কার্ড ব্যবহারের সুযোগ।
২। এখানে ডুয়েল ফোরজি সাপোর্ট করে।
৩। এতে ওয়াইফাই টু গিগাহার্জ এবং ফাইভ গিগা হার্জ উভয়টি সাপোর্ট করে।
৪। স্মার্টফোনে ওটিজি এবং এন এফ সির সাপোর্ট আছে।
৫। এর ডিসপ্লে তে পাবেন widevine L1 এর সাপোর্ট। ফলে online streaming এ ফুল এইচডিতে ভিডিও দেখতে পারবেন।
৬। ইনফিনিক্স এর ফোনগুলিতে ক্যামেরা টু এপিআই এর ফুল সাপোর্ট থাকে না তাই আপনি এখানে চাইলে ভবিষ্যতে ম্যানুয়াল ক্যামেরা অর্থাৎ জিক্যাম ব্যবহার করতে পারবে না।
৭। এতে স্টোরেজ হিসেবে পাবেন ২.২ ক্যাটাগরির ইউএফএস টেকনোলজির ইন্টারনাল মেমরি। তাই ডাটা ট্রান্সফার করার সময় অতিরিক্ত স্পিড পাবেন।
৮। ফেস আনলক এর সুবিধা এখানে থাকছে।
ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো কেনো কিনবেন
ইনফিনিক্স নোট 30 pro এর বেস্ট সাইডের কথা বলতে গেলে অবশ্যই এর ডিসপ্লের কথাটি বলতে হবে। ডিসপ্লেটি নিঃসন্দেহে সেরা অন্তত এই দামে। এরপরে এর পারফরমেন্স সেকশন নিয়েও আপনি সন্তুষ্ট থাকবেন বলে আশা করছি। এটি রেগুলার সমস্ত কাজের পাশাপাশি গেমিং করার সময়ও আপনাকে ভালো সাপোর্ট দেবে। ইনফিনিক্স এর এই মডেলটিতে চার্জিং এর ক্ষেত্রে যে সমস্ত এক্সট্রা বেনিফিট দেওয়া হবে সেগুলো নিঃসন্দেহে এই দামে আর কোন অন্যান্য ফোনে পাবেন না। ওয়ারলেস চার্জারটিও ফ্রিতে পেয়ে যেতে পারেন এই মোবাইল ফোনটি পার্সেস করার সময়।
আর ডিজাইনটি যেহেতু ব্যক্তিগত বিষয় অনেকেই পছন্দ করতেই পারেন আবার কারো কারো ভালো নাও লাগতে পারে। এই মডেলটির ব্যাক প্যানেলের মেইন ক্যামেরাটি আপনাকে সন্তুষ্ট করবে বলে আশা করছি। যে সমস্ত লোকেরা একটি ভালো গুড লুকিং এর পাশাপাশি ভালো মানের ডিসপ্লে ভালো মানের ক্যামেরা ভাল মানের ব্যাটারি ব্যাকআপ এবং ফাস্ট চার্জিং এর সুবিধা চান তারা এই মোবাইলটিকে কিনে ফেলতে পারেন বাজেট অনুযায়ী আপনার জন্য বেস্ট হবে।
ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো কেনো কিনবেন না
যারা ক্যামেরার ক্ষেত্রে অবশ্যই আল্ট্রা ওয়াইড সেন্সর খুব বেশি পছন্দ করেন এবং আপনার আল্ট্রা ওয়াইড লাগবেই এমন যদি কোন ফোন কিনতে চান তাহলে এই ফোন আপনার জন্য না। এখানে আলট্রা ওয়াইড এর জন্য ক্যামেরাতে কোন ধরনের সেন্সর ব্যবহার করা হয়নি। এর ক্যামেরা বাম্প কে অনেকেই অপছন্দ করবেন। এছাড়া অনেকেই ইনফিনিক্স এর এক্স ও এস ইউ আই টিকে খুব বেশি পছন্দ করেন না ভারী হওয়ার কারণে। তাছাড়া আপনি যদি জি ক্যাম লাভার হয়ে থাকেন তাহলে এখানে যেখানে চালাতে পারবেন না।
পরিশেষে বলা যেতে পারে ,আপনি যদি আন্ডার ৩০০০০ টাকায় বাংলাদেশে অফিসিয়ালি ভালো কোন মোবাইল কিনতে চান তাহলে এই ইনফিনিক্স নোট থার্টি প্রো মোবাইল ফোনটিকে অবশ্যই আমরা কেনার পরামর্শ দিব তাহলে, আপনি আশা করি ঠকবেন না। ইনফিনিক্স এর জন্য শুভ কামনা। আমরা আশা করি, ইনফিনিক্স ভবিষ্যতে আরো ভালো ভালো মানের মোবাইল ফোন লঞ্চ করার মাধ্যমে বড় বড় ব্র্যান্ডগুলোকে সমানতালে প্রতিযোগিতা করবে।