১৫ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল ২০২৩

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আশা করি সকলেই ভাল আছেন। অনেকেই ১৫০০০ টাকা বাজেট করেন স্মার্টফোন কেনার জন্য। কিন্তু কনফিউশনে পড়ে যান বাজারে থাকা এতগুলো ফোনের মধ্যে কোনটি থেকে কোনটি কিনবেন সেই বিষয়ে। 

১৫ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল ২০২৩

তাই আপনাদের জন্য আজকে নিয়ে এসেছি ১৫ হাজার টাকায় বাংলাদেশের মধ্যে অফিশিয়াল ভাবে পাওয়া যায় এমন নয়টি মোবাইল ফোন সম্পর্কে বিস্তারিত। নিচের নয়টি ফোনকে আপনারা যদি ১৫০০০ টাকা বাজেটে পছন্দ করেন তাহলে আশা করি আপনি লাভবান হবেন। এই নয়টি ফোনের মধ্যে কোনটি আপনার জন্য ভালো হবে তা জানার জন্য পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
১৫ হাজার টাকার নিচে আমাদের দেশে অনেক মানুষ মোবাইল ফোন কিনে থাকেন। এই বাজেটে যে সমস্ত ফোন পাওয়া যায় সেগুলোকে বলা হয় এন্ট্রি টু মিট বাজেট এর ফোন। এবং বাংলাদেশে এই দামে সব থেকে বেশি মোবাইল ফোন বিক্রি হয়। অনেকেই কষ্টের টাকা জমিয়ে ফোন কিনবেন তাই ফোনটি যদি আপনার সাথে না যায় তাহলে কষ্টের টাকাটি বৃথা যেতে পারে। 
চলুন এই নয়টি ফোন সম্পর্কে সংক্ষেপে কি কি অফার করছে তা জেনে নেই। 

Symphony z60 plus

আমাদের লিস্টে নবম নাম্বার ফোনটির নাম symphony z 60 প্লাস। এই মোবাইলটি দেশের বাজারে অফিশিয়াল মার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১১৯৯০ টাকায়। এই মোবাইলে আপনারা পেয়ে যাবেন ৬.৬ ইঞ্চি সাইজের টি এইচডি প্লাস রেজুলেশনের আই পি এস ডিসপ্লে। 
পাশাপাশি পাবেন ৯০ হার্জ রিফ্রেস রেট এর সাপোর্ট। পিছনে পাবেন ডুয়েল ক্যামেরা সেটআপ। যেখানে মেইন সেন্সর হিসেবে থাকছে ৫০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। এবং সামনে পাচ্ছেন ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। 
ব্যাটারি হিসেবে থাকছে ৫০০০ মিলি এম্পিয়ারের ব্যাটারি এবং ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার। এখানে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে পাবেন android 12। প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে UNISOC T616। এখানে আরো পাচ্ছেন ৬ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবি রম। Symphony z60 প্লাস এর পিছনে গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে যা দেখতে খুবই সুন্দর। এছাড়া এতে ফেস আনলক এবং সাইড মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাবেন। 

Infinix hot 30i 

আমাদের লিস্টে অষ্টম নাম্বার মোবাইল ফোনটির নাম ইনফিনিক্স হট 30i। এই মোবাইল ফোনটি আপনারা অনেক গুলো ভ্যারিয়েন্ট এ মার্কেটে পাবেন। তবে এর বেজ ভেরিয়েন্ট ৪/ ৬৪ জিবি পাওয়া যাবে ১১,৯৯৯ টাকায়। এখানে ডিসপ্লে হিসেবে পাচ্ছেন 6.56 ইঞ্চির এইচডি প্লাস রেজুলেশনের একটি আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে। 
এবং এখানেও আপনারা ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেট পাবেন। পিছনে পাবেন ১৩ মেগাপিক্সেলের মূল ক্যামেরা নিয়ে ডুয়েল ক্যামেরা সেটআপ। এবং সামনে পাবেন আট মেগাপিক্সেলের সেলফি শুটার। ব্যাটারি হিসেবে পাবেন পাঁচ হাজার মিলি আম্পিয়ারের ব্যাটারি এবং 18 ওয়াটের ফাস্ট চার্জার। 
অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে আছে android 12। এতে প্রসেসর হিসেবে আছে MediaTek Helio G37। এতে ফেস আনলকের পাশাপাশি পাওয়ার বাটনে ইন বিল্ট ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর আছে। 

Itel s23

আমাদের লিস্টের ৭ নম্বর মোবাইল টির নাম itel s 23। ১২৪৯০ টাকায় এই মোবাইলের ৮ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবি রম এর ভেরিয়েন্টটি পাওয়া যাবে। এই ফোনের অন্যতম একটি আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে এদের ব্যাক প্যানেলে আছে কালার চেঞ্জিং টেকনোলজি। 
এখানে কালার শিফটিং আপনারা লক্ষ্য করবেন যার জন্য এর লুকস অন্যান্য গুলো থেকে অনেক এগিয়ে থাকবে। এখানে ডিসপ্লে হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে 6.6 ইঞ্চি সাইজের একটি এইচডি প্লাস আইপিএস ডিসপ্লে। 
পিছনে আছে ৫০ মেগাপিক্সেলের মেইন সেন্সরসহ ডুয়েল ক্যামেরা সেটআপ। এবং সামনে পাবেন আট মেগাপিক্সেলের সেলফি শুটার। 
এখানেও আছে ৯০ হার্জ এর রিফ্রেশ রেট এর সাপোর্ট। অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে আছে অ্যান্ড্রয়েড ১২। এবং এতে আপনারা পাবেন পাঁচ হাজার মিলি এম্পিয়ার এর ব্যাটারির সাথে ১০ ওয়াটের চার্জার। প্রসেসর হিসেবে আছে UniSoC T606। এখানেও ফেস আনলক এর পাশাপাশি সাইড মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাবেন। 

Techno spark 10C

আমাদের লিস্টের ৬ নম্বর মোবাইল ফোনের নাম টেকনো স্পার্ক 10c। ৮ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবি ইন্টারনাল মেমরি এর ভেরিয়েন্ট টি পাবেন ১৪৪৯০ টাকায়। 
এই মোবাইলটিতে ডিসপ্লে হিসেবে আছে ৬.৬ ইঞ্চি সাইজের এইচডি প্লাস রেজুলেশন এর একটি আইপিএস ডিসপ্লে। পাশাপাশি আরো থাকছে ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেট এর সাপোর্ট। 
টেকনোর এই মোবাইলটিতে পিছনে পাবেন ১৬ মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরার ডুয়েল ক্যামেরা সেটআপ। এবং সেলফি শুটার হিসেবে আছে আট মেগাপিক্সেলের একটি সেন্সর। 
অ্যান্ড্রয়েড ১২ চালিত অপারেটিং সিস্টেমের ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে Unisoc T606 প্রসেসর। ব্যাটারি হিসেবে পাবেন পাঁচ হাজার মিলি এম্পিয়ার এর ব্যাটারি এবং 18 ওয়াটের ফাস্ট চার্জার। পাওয়ার বাটন এ ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর বসানো হয়েছে এবং এখানেও ফেস আনলক থাকছে। 

Infinix hot 30

আমাদের লিস্টের ৫ নম্বর মোবাইল ফোনের নাম ইনফিনিক্স হট ৩০। ইনফিনিক্স হট 30 এর 4/128gb ভেরিয়েন্ট টি পাবেন ১৪৯৯৯ টাকায়। এখানে ৬.৭৮ ইঞ্চি সাইজের বিশাল একটি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। 
যার রেজুলেশন ফুল এইচডি প্লাস। এটি একটি আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে এবং এখানেও ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেট এর সাপোর্ট আছে। এই মোবাইলে পিছনে আছে ডুয়েল ক্যামেরা যেখানে মেইন সেনসর হিসেবে ৫০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। 
সামনে ব্যবহার করা হয়েছে 8 মেগাপিক্সেলের একটি সেলফি শুটার। ৫০০০ মিলি এম্পিয়ার ব্যাটারির সাথে এখানে আছে ৩৩ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট। অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে আছে এন্ড্রয়েড ১৩। 
প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে MediaTek Helio G88। এখানে আছে সাইড মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এবং ফেস আনলক এর সাপোর্ট। এছাড়া এখানে ডুয়েল স্পিকার ব্যবহার করা হয়েছে। 

Realme c33

আমাদের লিস্টের চার নাম্বার মোবাইল ফোনের নাম realme c33। যারা realme ব্র্যান্ডকে খুব পছন্দ করেন তারা এই মোবাইলটিকে পছন্দ করবেন অবশ্যই। ১৪৯৯০ টাকায় এর ৪ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি রম এর ভ্যারিয়েন্ট টি অফিসিয়াল ভাবে পাওয়া যায়। 
এই ফোনটির ডিজাইন অত্যন্ত সুন্দর। ৬.৫ ইঞ্চি সাইজের এইচডি প্লাস একটি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। ডিসপ্লেটি একটি আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে। পিছনে থাকছে ডুয়েল ক্যামেরা সেটআপ। 
মূল সেন্সর টি ৫০ মেগাপিক্সেলের। এবং সামনে ব্যবহার করা হয়েছে পাঁচ মেগাপিক্সেলের সেলফি শুটার। অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে আছে এন্ড্রয়েড ১২। এবং প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে Unisoc Tiger T612 
৫০০০ মিলি এম্পিয়ার এর ব্যাটারির সাথে এখানে পাবেন দশ ওয়াটের চার্জিং সাপোর্ট। ফেস আনলক এর পাশাপাশি সাইড মাউনটেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর আছে। 

Infinix hot 11s

আমাদের লিস্টের তিন নম্বর মোবাইল ফোনের নাম ইনফিনিক্স হট 11s। ৪ জিবি র্যাম এর সাথে ১২৮ জিবি রম নিয়ে এই মোবাইল ফোনটি পাবেন মাত্র ১৪৯৯০ টাকায়। ডিসপ্লে হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ৬.৭৮ ইঞ্চি সাইজের বিশাল একটি বড় ডিসপ্লে। 
ডিসপ্লে রেজুলেশন ফুল এইচডি প্লাস এবং এটি একটি আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে। এবং এখানেও ৯০ হার্জ refresh rate থাকছে। পিছনে আছে ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ। এখানে মেইন সেনসর টি ৫০ মেগাপিক্সেলের। সামনে আছে 8 মেগাপিক্সেলের একটি সেলফি শুটার।
Infinix hot 11 s এ ৫০০০ মিলি এম্পিয়ার ব্যাটারির সাথে আছে ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট। অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ১১। 
এখানে প্রসেসর হিসেবে আছে MediaTek Helio G88। এর পিছনে আছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এবং এখানে ডুয়েল স্পিকার ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি ফেস আনলকও আছে। 

Redmi 10C

আমাদের লিস্টের দুই নম্বর মোবাইলের নাম শাওমি রেডমি 10c। শাওমি ফোনকে যারা পছন্দ করেন এবং যারা শাওমি লাভার তাদের জন্য এটি একটি ভালো চয়েজ ১৫ হাজার টাকার মধ্যে। 
দেশের বাজারে অফিশিয়াল মার্কেটে ১৪ হাজার ৯৯৯ টাকায় শাওমি রেডমি টেন সি এর ৪ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি রম এর ভার্সনটি পাওয়া যাবে। এখানে ৬.৭১ ইঞ্চি সাইজের বিশাল বড় একটি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। 
এটি একটি আইপিএস এলসিডি প্যানেলের ডিসপ্লে এবং এর রেজুলেশন এইচডি প্লাস এখানে কর্নিং গরিলা গ্লাস এর প্রটেকশন ব্যবহার করা হয়েছে। পিছনে ৫০ মেগাপিক্সেলের মূল ক্যামেরা সহ আছে ডুয়েল ক্যামেরা। 
এবং সামনে ব্যবহার করা হয়েছে পাঁচ মেগাপিক্সেলের একটি সেলফি শুটার। ৫০০০ মিলিম্পিয়ার এর বড় ব্যাটারির সাথে এখানে ১৮ ওয়াটের সাপোর্ট পাবেন চার্জিং এর জন্য। অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে আছে এন্ড্রয়েড ১১। এবং ইউআই হিসেবে পাবেন শাওমির নিজস্ব এমআই ইউআই ১৩। 
প্রসেসর হিসেবে এখানে ব্যবহার করা হয়েছে Qualcomm Snapdragon 680। এবং জিপিইউ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে Adreno 610। UFS 2.2 ক্যাটাগরি স্টোরেজ ব্যবহার করা হয়েছে। এর পেছনে আছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। 

Techno spark 10 pro

আমাদের লিস্টের এক নম্বর মোবাইল ফোনের নাম টেকনো স্পার্ক টেন প্রো। ৪ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবি রম নিয়ে দেশের বাজারে অফিসিয়াল দাম ১৫৬৯০ টাকা। 
তবে যদি আপনারা ডিলার এর কাছ থেকে এই ফোনটি পার্সেস করেন তাহলে দামাদামি করলে 15 হাজার টাকা অথবা ২০০ বা ১০০ সামান্য বেশি দিয়ে কিনতে পারবেন। এই ফোনটি দেখতে কিছুটা আইফোনের মত। 
ডিসপ্লে হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি সাইজের অনেক বড় একটি ডিসপ্লে। এটি একটি আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে এবং এখানেও থাকছে নব্বই হার্জ রিফ্রেশ রেট এর সাপোর্ট। এই ডিসপ্লেটির রেজুলেশন ফুল এইচডি প্লাস। 
এই মোবাইলের পিছনে ব্যবহার করা হয়েছে ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ। যেখানে মেইন সেন্সর টি ৫০ মেগাপিক্সেলের। সামনে আছে ৩২ মেগাপিক্সেলের একটি সেলফি ক্যামেরা। 
রেজুলেশন বেশি ভালো হওয়ায় এই মোবাইলটিতে খুব ভালো সেলফি ওঠে। অর্থাৎ ছবির শাটনেস এবং ডিটেলস বেশি পাওয়া যায়। এখানে পাবেন ৫ হাজার মিলি এম্পিয়ার এর ব্যাটারি এবং 18 ওয়াটের চার্জার। 
অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে আছে এন্ড্রয়েড ১৩। প্রসেসর হিসেবে এখানে ব্যবহার করা হয়েছে MediaTek Helio G88। এখানে পাওয়ার বাটন এর সাথে ইমপ্লিমেন্ট করা হয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট। পাশাপাশি ফেস আনলক থাকছে। 
উপরের নয়টি মোবাইল ফোনের মধ্যে আপনার জন্য কোনটি হবে সেই প্রসঙ্গে যদি বলতে হয় তাহলে বলব, আপনি যদি গেম খেলেন অর্থাৎ বেশি ভালো পারফরমেন্সের প্রয়োজন হয় তাহলে যেগুলোতে MediaTek Helio G88 প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলোকে চয়েজ করতে পারেন। 
অন্যথায় আপনি যদি একজন সাধারন ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে যে কোন একটি পছন্দ করে নিতে পারেন। আর আপনি যদি অনেক দিন ধরে ভালো স্টেবল পারফরম্যান্স চান খুব বেশি গেমি করেন না, তাহলে কোয়ালকম snapdragon এর প্রসেসর আছে রেডমি টেন সি সেটিকে পছন্দ করতে পারেন।
এবং যারা ক্যামেরা কে প্রাধান্য দিবেন তারা টেকনো স্পার্ক টেন প্রো অথবা ইনফিনিক্স হট ইলেভেন এস এই দুটিকে পছন্দ করতে পারেন। এই ধরনের আরো আর্টিকেল পাওয়ার জন্য আমাদেরকে নিয়মিত ভিজিট করুন। 

Hello! I’m Razwan, a dedicated Content Writer 2 years of hands-on experience.

Leave a Comment