xiaomi 12 pro price in bangladesh | xiaomi bangladesh

xiaomi 12 pro price in bangladesh | xiaomi bangladesh

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আজকে শাওমি এর পক্ষ থেকে একটি দামি মোবাইল ফোন সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। আজকে যাকে নিয়ে আলোচনা করা হবে তার নাম xiaomi 12 pro। 

xiaomi 12 pro এর প্রাইস বাংলাদেশে কত টাকা, এখানে কি কি স্পেসিফিকেশন পাবেন, দাম হিসেবে এই মোবাইল ফোনটিকে কিনবেন কিনা, এই মোবাইল ফোনটি কারা কিনবেন এবং কারা কিনবেন না ইত্যাদি জানার জন্য বিস্তারিত পড়তে আজকের আর্টিকেলটি পড়ুন। 

xiaomi 12 pro এর দাম কত টাকা

xiaomi 12 pro বাংলাদেশের মার্কেটে অফিসিয়াল ভাবে দুইটি ভেরিয়েন্টের লঞ্চ হয়েছে। ৮ জিবি র্যাম এবং ২৫৬ জিবি রম ভেরিয়েন্ট এর দাম ৯৯,৯৯৯ টাকা। ১২ জিবি র্যাম এবং ২৫৬ জিবি রম ভেরিয়েন্ট এর দাম ১০৯,৯৯৯ টাকা। 

Xiaomi 12 pro Review In Bangla

xiaomi 12 pro এর আউটলুক ও ডিজাইন কেমন

xiaomi 12 pro তিনটি কালার ভেরিয়েন্টের বাজারে পাওয়া যায়। একটি ব্লু একটি পারপেল এবং আরেকটি গ্রে কালারের। মোবাইল ফোনের সামনে ডিসপ্লে তে প্রটেকশন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ভিকটাস। 
মোবাইল ফোনের বডি ফ্রেম অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি। এবং পিছনে গ্লাস দিয়ে তৈরি। শাওমি টুয়েলভ প্রো এর থিকনেস ৮.২ মিলিমিটার এবং এর ওজন প্রায় ২০৪ গ্রাম। 
এখানে ডিসপ্লের ডিজাইনটি পাঞ্চ হোল। মোবাইলের পেছনের অংশে চার কোনাকৃতির রয়েছে একটি ক্যামেরা হাউস। ক্যামেরা হাউসে ব্যবহার করা হয়েছে তিনটি ক্যামেরা এবং একটি ফ্লাশ লাইট। 
মোবাইলটির চিন এবং বেজেল এরিয়া খুবই মিনিমাল রাখা হয়েছে। এজন্য এর ডিসপ্লে দেখে অনেক ভালো লাগবে। 

xiaomi 12 pro এর ডিসপ্লে কেমন 

xiaomi 12 pro এর ডিসপ্লে হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে কোয়াড এইচডি প্লাস রেজুলেশনের একটি ৬.৭৩ ইঞ্চি সাইজের বিশাল একটি ডিসপ্লে। ডিসপ্লেটির পিক্সেল ডেনসিটি ৫২১ পিপিআই। 
এই ডিসপ্লে টি একটি LTPO অ্যামলেড ডিসপ্লে। এখানে আরও রয়েছে ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট এর সাপোর্ট। আরো আছে এইচডি আর টেন প্লাসের সাপোর্ট। এখানে ডলবি ভিশন রয়েছে। ব্রাইটনেস সর্বোচ্চ ১৫০০ নিটস পর্যন্ত সাপোর্ট করে।
মোবাইলটির ব্রাইটনেস নিয়ে কোন ধরনের কোন অসুবিধা পড়তে হয়নি আউটডোর কন্ডিশনে। এমনকি সরাসরি সূর্যের আলোতেও খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি এর ডিসপ্লে কে দেখতে। ডিসপ্লেটির কোয়ালিটি অনেক বেশি চমৎকার। ন্যাচারাল কালার দেওয়ার চেষ্টা করে। এবং এর ডিসপ্লেটি থেকে খুবই ভালো ক্লিয়ার এবং সারপ কন্টেন্ট দেখা যায়। 

xiaomi 12 pro এর ক্যামেরা কোয়ালিটি কেমন

xiaomi 12 pro তে পিছনে ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ট্রিপল ক্যামেরা সেট আপ। মেইন ক্যামেরা টির রেজুলেশন ৫০ মেগাপিক্সেলের। আরো দুটি ৫০ মেগাপিক্সেলের করে যথাক্রমে একটি টেলি ফটো এবং একটি আলট্রা ওয়াইড ক্যামেরা সেন্সর রয়েছে। 
মেইন ক্যামেরাটি তে থাকছে ওআইএস সাপোর্ট। ফলে এখানে খুব ভালো ভিডিওগ্রাফি করতে পারবেন। এখানে মেইন ক্যামেরার সেন্সরটি হলো IMX707। মেইন ক্যামেরার ছবিগুলো খুবই চমৎকার ছবি তুলতে পারে। ছবিগুলো খুবই ক্লিয়ার এবং অনেক বেশি ভালো ডিটেলস ধরে রাখতে পারে। 

পোর্ট্রেট মডেল ছবি তোলার সময় খুব ভালোভাবে এজ গুলো ডিটেক্ট করতে পারে। তবে ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লারিং করার সময় কিছুটা আর্টিফিশিয়াল লাগে। রাতের বেলাতেও ভালো ছবি পাওয়া যায় তবে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে নাইট মুড ব্যবহার না করেও ভালো ছবি পাবেন। 
নাইটে মোডে অনেক সময় ফেস গুলোকে বেশি স্মুথ করে ফেলে। আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরার ছবিগুলো ছিল চমৎকার মেইন ক্যামেরার মতোই । এখানেও ভালো শার্পনেস এবং ডিটেলস পাওয়া যায়। টেলি ফটো লেন্স থাকাতে জুম করে খুব ভালো ভালো ক্লিয়ার ছবি তুলতে পারবেন। 
মোবাইলটির সামনে ব্যবহার করা হয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেলের f ২.৪৫ অ্যাপাচারের একটি সেলফি শুটার। সেলফি ক্যামেরার পারফরমেন্স খুবই ভালো। ডায়নামিক রেঞ্জ খুব ভালোভাবে কাজ করে। ছবিগুলোকে যথেষ্ট ভাইব্রেন্ট এবং কালারফুল মনে হয়। কখনো কখনো ফেস স্মুথ করে ফেলে।  

এই মোবাইলটির পিছনের ক্যামেরা দিয়ে আপনারা এইট কে ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন ২৪ ফ্রেম রেট দিয়ে। এছাড়া অন্যান্য সকল রেজুলেশনের ভিডিও করার সময় ৬০ এফপিএস পর্যন্ত ভিডিও করতে পারবেন। ভিডিও পারফরম্যান্স খুবই চমৎকার খুবই ভালোভাবে কালার শো করে। 
ভিডিওতে ওআইএস সাপোর্ট থাকায় ভিডিও যথেষ্ট বেশি স্টেবল হয়। যারা ভিডিওগ্রাফি করবেন এই মোবাইলটি দিয়ে তারা ভিডিওগ্রাফি করে অনেক বেশি উপভোগ করবেন। 

xiaomi 12 pro এর পারফরমেন্স কেমন

শাওমির এই মডেলের মোবাইল ফোনটি তে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে আউট অফ দা বক্স এন্ড্রয়েড টুয়েলভ এবং ইউআই হিসেবে রয়েছে শাওমির নিজস্ব কাস্টম ইউ আই এম আই ইউ আই থার্টিন। 
এই মোবাইলটিতে প্রসেসর হিসেবে রয়েছে Qualcomm Snapdragon 8 Gen 1। এই প্রসেসরটি একটি একটা অকটা কোরের প্রসেসর। এবং এর ট্রানজিস্টর সাইজ মাত্র চার ন্যানোমিটার। 
এই প্রসেসর টি সর্বোচ্চ ৩.০ গিগাহার্জ স্পিডে কাজ করতে পারে। জিপিইউ হিসেবে এখানে ব্যবহার করা হয়েছে Adreno 730। কোয়ালকম এর পক্ষ থেকে এটি অন্যতম একটি সেরা প্রসেসর যা খুবই দামি ফোনগুলোতে ব্যবহার করা হয়। 
টপ লেভেলের প্রসেসর হলেও এ প্রসেসরটি পারফরম্যান্স এস্টাবলিটির দিক দিয়ে আবার খুব বেশি স্টেবল নয়। সকল প্রকার গেম আপনারা খুব ভালোভাবেই মোবাইলটি দিয়ে খেলতে পারবেন তবে পারফরম্যান্স স্টাইল পাবেন না পাশাপাশি খুব বেশি হেভি ইউজ করলে মোবাইলটি গরম হবে। 

এর জন্য দায়ী অবশ্য এখানকার সফটওয়্যার অপটিমাইজেশন। পারফরম্যান্সের বিচারে টপ পারফরম্যান্স পাওয়া গেলেও সফটওয়্যার এর দিক থেকে এই প্রসেসর এর অপটিমাইজেশন ভালো না হওয়াতে আশানুরূপ পারফরম্যান্স নাও পেতে পারেন। 
এমনিতে দৈনন্দিন সকল কাজকর্ম করার সময় খুব ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া গিয়েছে। মোবাইল থেকে অনেক বেশি স্মুথ লেগেছে আমাদের কাছে। হেভি মাল্টি টাস্কিং করেও কোন ধরনের ল্যাগ কিংবা স্টাটারিং আমরা দেখিনি। 

xiaomi 12 pro এর ব্যাটারি কত

xiaomi 12 pro তে ব্যবহার করা হয়েছে ৪৬০০ মিলি এম্পিয়ারের একটি লিথিয়াম পলিমার নন রিমুভ্যাবল ব্যাটারি। এবং এখানে আছে ১২০ ওয়াট এর ফাস্ট চার্জার। 
১২০ ওয়াটের চার্জার দিয়ে কোম্পানির ক্লেইম অনুযায়ী প্রায় ২০ মিনিটের আশেপাশেই মোবাইলটিকে সম্পূর্ণ চার্জ করা যাবে। এছাড়াও এখানে আছে ৫০ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জিং সুবিধা। 
এখানে ১০ ওয়াটের রিভার্স চার্জিং ও করা যাবে। মোবাইলটির ব্যাটারি ব্যাকআপ আমাদের কাছে কিছুটা কম মনে হয়েছে ব্যাটারির সাইজ অনুযায়ী। টেনে টুনে এক দিন চালাতে পারবেন আর হেভি ইউজ এ ৫ থেকে সাড়ে পাঁচ ঘন্টার মত স্ক্রিন অন টাইম পাবেন। 

xiaomi 12 pro এর অন্যান্য কিছু বৈশিষ্ট্য

১। xiaomi 12 pro এর মধ্যে ইউএফএস ৩.১ ক্যাটাগরির স্টোরেজ থাকাতে এখানে খুব ভালো স্পিড পাবেন ডাটা ট্রান্সফার করার সময়। 
২। সিকিউরিটি সেকশনে আপনারা ফেস আনলক সাপোর্ট পাবেন সাথে আরো আছে ইন ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর পজিশন এবং একুরেসী ও স্পিড ঠিক ঠাকমতই আছে। 
৩। এই মোবাইলটির মধ্যে ৫ জি সাপোর্ট করে। ফলে যারা ৫ জি কাভারেজ এলাকায় থাকেন তারা এই সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। 

৪। এখানে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় সেন্সর যেমন জাইরস্কপ , ব্যারোমিটার, ই কম্পাস ইত্যাদি রয়েছে। 
৫। শাওমি এখানে ডুয়েল স্পিকার ব্যবহার করেছে ফলে খুব ভালো কোয়ালিটির সাউন্ড এখান থেকে পাওয়া যায়। তবে সাউন্ড আরো কিছুটা যদি বেশি হতো তাহলে অবশ্যই আরো ভালো লাগতো। 
৬। ডুয়েল ব্যান্ড ওয়াইফাই এর সাপোর্ট রয়েছে এখানে। এছাড়া এখানে অন্যান্য ওয়্যারলেস কানেকশনগুলোতে লেটেস্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ইনফ্রারেড, ওটিজি, এনএফসি ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
৭। এখানে LPDDR5 ক্যাটাগরির র্যাম রয়েছে যা প্রিভিয়াস জেনারেশনের থেকে অনেক ফাস্ট । কুলিং করার জন্য এখানে লিকুইড কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। 
৮। শাওমি এখানে X-axis linear ভাইব্রেশন মোটর ব্যবহার করেছে। তাই খুব দারুন হেপটিপ ফিডব্যাক পাবেন। 
৯। শাওমির এই মডেলটিতে আপনারা পেয়ে যাবেন একটি আইআর ব্লাস্টার সেন্সর। এতে করে পকেটের রিমোট নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর ফিলিং পাবেন। যখন যেখানে দরকার রিমোট এর কাজ আপনি মোবাইল ফোনটি দিয়েই সারতে পারবেন। 
১০। মোবাইলটি তে ৪৮০ হার্জ টাচ স্যাম্পলিং রেট রয়েছে।এতে করে অনেক বেশি স্মুথ মনে হবে এর ডিসপ্লে কে । স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা অনেকটাই বদলে দেবে। 
১১। এখানে এমনভাবে এডাপ টিভ রিফ্রেস রেট রয়েছে যা বিভিন্ন সময়ে 1Hz/10Hz/30Hz/60Hz/90Hz/120Hz এ যখন যেরকম প্রয়োজন সেরকমভাবে কাজ করবে। এটি নিঃসন্দেহে অনেক দারুন একটি ফিচার। 

xiaomi 12 pro যে কারণে কিনতে পারেন

এই মোবাইলটির মধ্যে স্পেসিফিকেশন এর দিক থেকে দাম অনুযায়ী আপনাকে অনেক কিছুই দিচ্ছে। কোনদিক থেকে কমতি রাখছে না। এখানে আছে ভালো ডিসপ্লে,ভালো পারফরমেন্স, ভালো ডিজাইন, চমৎকার কোয়ালিটি ক্যামেরা ।

এই মোবাইল এর অন্যতম সেরা আকর্ষণের একটি জায়গা হলো এটি খুবই হ্যান্ডি এবং স্টাইলিশ। এক হাতে ভালোভাবেই ব্যবহার করা যায়। কমপ্যাক্ট টাইপের ফোন এটি। এখানে খুব ভালো সফটওয়্যার এক্সপেরিয়েন্স পাবেন। 
এই মোবাইলটি একটি ফাইভ জি মোবাইল। ফাস্ট চার্জার থাকায় খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আবার চার্জ করা যায়। 
এজন্য উপরের বর্ণিত বিষয়গুলো যাদের জন্য বেশি প্রয়োজন তারা এই মোবাইল কে পছন্দ করে কিনে ফেলতে পারেন। 

xiaomi 12 pro যে কারণে হয়তো কিনবেন না

xiaomi 12 pro মোবাইল ফোনের মধ্যে নেই কোনো ধরনের ওয়াটার প্রুপ এর সার্টিফিকেশন। লাখ টাকার ফ্ল্যাগ শিপ ফোনে এ কেমন ধরনের আচরণ তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয় কোনোভাবেই। 
এখানে এফএম রেডিও এর সাপোর্ট নেই। তাই যাদের এফএম রেডিও শোনার শখ আছে তারা কিছুটা হতাশ হবেন। অবশ্য অনেক অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন এর জন্য। 
না কেনার জন্য আরো একটি বড় কারণ হতে পারে এখানে কোনো হেডফোন জ্যাকের পোর্ট নেই। অবশ্য বেশি দামী ফোনগুলোতে এই ফিচার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই থাকে না। তবুও যাদের প্রয়োজন তারা অবশ্যই একে হয়তো এ কারণেই কিনবেন না। 

Xioami এখানে কোনো এক্সট্রা মেমোরি কার্ড ব্যবহার করার জন্য কোনো স্লট দেয় নি। তাই আপনি চাইলে কোনো মেমোরি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন না। একান্ত খুব দরকার পড়লে আপনাকে ওটিজি ব্যবহার করে কার্ড রিডার দিয়ে মেমোরি কার্ড লাগিয়ে ডাটা ট্রান্সফার করতে হতে পারে। 

সর্বশেষ মন্তব্য

আজকের এই পোষ্ট এ xiaomi 12 pro কে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। যদি কোনো বিষয় বাদ পড়ে থাকে তাহলে কমেন্টে জানান। এই ধরনের লেখা নিয়মিত পেতে আমাদের নিয়মিত ভিজিট করুন।
এই মোবাইলটি কিনবেন কিনা সেই সিদ্ধান্ত একান্ত ব্যাক্তিগত আপনার। অবশ্যই কেনার আগে নিজে ফোনটিকে ভালো করে দেখবেন আপনার ভালো লাগে কিনা , আপনার প্রয়োজন পূরণ করতে পারছে কিনা এসব বিষয় বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিবেন আশা করছি।

Hello! I’m Razwan, a dedicated Content Writer 2 years of hands-on experience.

Leave a Comment