আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। Realme বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে নিয়ে এসেছেন নতুন আরেকটি স্মার্টফোন। এই মডেলটির নাম সি ৫৩।
realme c53 এর দাম কত? realme c53 তে কি কি স্পেসিফিকেশন পাবেন? এটি দাম অনুযায়ী কিনবেন কিনা ইত্যাদি জানার জন্য মনোযোগ দিয়ে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।
আমাদের আরো আর্টিকেল
মেইন ফিচারস
৬/১২৮ জিবি,HD ডিসপ্লে,অ্যান্ড্রয়েড ১৩, 5000 mah ব্যাটারি, ৩৩ ওয়াট চার্জার , Unisoc Tiger T612 প্রসেসর, ৫০ mp ডুয়েল ক্যামেরা ইত্যাদি।
ভিডিও দেখুন এখানে realme c53
realme c53 এর দাম কত
realme c53 বাংলাদেশের মার্কেটে অফিসিয়াল ভাবে শুধুমাত্র একটি ভেরিয়েন্টে পাওয়া যায়। ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি রম এর ভেরিয়েন্টের দাম ১৭,৯৯৯ টাকা।
realme c53 এর লুকিং ও ডিজাইন কেমন
realme c53 দুইটি কালার ভেরিয়েন্টে পাওয়া যায়। একটির নাম Champion Gold এবং অন্যটির নাম Mighty Black। বডি ফ্রেমটি এবং ব্যাক প্যানেল টি প্লাস্টিকের তৈরি।
Realme এর এই মোবাইল ফোনটি দেখতে খুবই স্টাইলিশ। পিছনের দিকের কালারটি সূর্যের আলোতে বা এমনি কোন সাধারণ আলোতে অনেক বেশি চকচক করে। আলোর রিফ্লেকশনটি দেখতে খুবই চমৎকার মনে হয়।
ক্যামেরা কাট আউটটি দেখতে অনেকটা আইফোনের সাথে মিল রয়েছে। এই মোবাইলটি খুবই স্লিম। এর থিকনেস ৭.৪৯ মিলিমিটার। বেশি স্লিম হওয়াতে এটা ধরে বেশ ভালো লাগে।
মোবাইলটির ওজন প্রায় ১৮২ গ্রাম। রিয়েলমি এর এই মডেলের মোবাইলটিতে নিচের দিকে থাকছে ৩.৫ মিলিমিটার হেডফোন জ্যাকের পোর্ট ,একটি টাইপ সি ইউ এস বি চার্জিং পোর্ট ,একটি প্রাইমারি মাইক্রোফোন এবং একটি স্পিকার গ্রিল।
মোবাইলের উপরের দিকে কোন ধরনের কোন পোর্ট নেই। বামে আছে একটি সিম কার্ডের ট্রে। এখানে আপনারা ব্যবহার করতে পারবেন দুইটি সিমের পাশাপাশি একটি এক্সটার্নাল মেমোরি কার্ড ব্যবহার করার সুবিধা।
মোবাইলটি ডানদিকে পাবেন ভলিউম বাটন এবং পাওয়ার বাটন। এখানে পাওয়ার বাটনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে সাইড মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। ফিঙ্গারপ্রিন্ট খুবই রেসপন্সিভ ছিল এখানে টাচ করার মধ্যেই অল্প কিছুক্ষনেই আনলক করে দেয়।
অ্যানিমেশন জনিত কোন ডিলে এখানে পাওয়া যায়নি। এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট টির পজিশন একদম ঠিকঠাক জায়গা মত ছিল যে কারো হাত আশা করি সহজেই এখানে পৌঁছে যাবে।
মোবাইলটির সামনে ডিসপ্লে তে একটি ইউ শেপ নচ রয়েছে। এখানে মজার বিষয় হল এই ইউ শেপ নচ টি আপনি যখন চার্জে দিবেন মোবাইল তখন এখানে ক্যাপসুল এর মত দেখতে লাগবে অনেকটা ডায়নামিক আইল্যান্ডের মতো।
ডিসপ্লেটির চিন এবং বেজেল এরিয়া দাম হিসেবে বেশ ভালোই । মোবাইলটি সিঙ্গেল হ্যান্ডে খুব ভালোভাবে ব্যবহার করা যায়। যাদের হাত একটু ছোট তাদেরও খুব একটা সমস্যা হবে না বলে আমরা মনে করি।
realme c53 এর ডিসপ্লে কেমন
realme c53 মডেলের মোবাইলে ব্যবহার করা হয়েছে ৬.৭৪ ইঞ্চি সাইজের অনেক বড় একটি ডিসপ্লে। এখানে নাইন্টি হার্জ রিফ্রেশ রেট সাপোর্ট করে। এখানে ১৮০ হার্জ টাচ স্যাম্পলিং রেট আছে।
ডিসপ্লেটির রেজুলেশন এইচডি প্লাস এবং এটি একটি আইপিএস এলসিডি প্যানেলের ডিসপ্লে।
ডিসপ্লেটিতে ব্রাইটনেস হিসেবে সর্বোচ্চ ৫৬০ নিটস পর্যন্ত পিক সাপোর্ট করে। তাই আউট ডোরে ব্যবহার করার সময় খুব একটা সমস্যাতে পড়তে হবে না। ইনডোর কন্ডিশনে আরো খুব ভালোমতো দেখতে পাওয়া যাবে।
একবারে সূর্যের আলোতে সরাসরি থাকলে তখন লো ব্রাইটনেস জনিত সামান্য সমস্যা ফেস করতে পারেন। ডিসপ্লে কোয়ালিটি আইপিএস হিসেবে যথেষ্ট ভালো এবং কালারফুল ছিল। এখানে কনটেন্ট দেখে আপনাদের ভালো লাগবে।
ডিসপ্লে টিতে প্রটেকশন হিসেবে এখানে কোনো রকমের প্রটেকশন ব্যবহার করা হয়েছে এমন কোন তথ্য আমরা পাইনি। এজন্য ব্যবহার করার আগে অবশ্যই একটি ভালো মানের স্ক্রিন প্রটেক্টর কিনে ব্যবহার করবেন। অন্যথায় স্ক্র্যাচ পড়ে যাওয়ার ভয় থাকবে। এবং সামান্য আঘাতে ডিসপ্লের ক্ষতি হতে পারে।
realme c53 এর পারফর্মেন্স কেমন
realme c53 মোবাইলে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে আছে লেটেস্ট এন্ড্রয়েড ১৩। এবং এখানে ইউআই হিসেবে পাবেন রিয়েলমির তুলনামূলক লাইট এডিশনের ইউ আই রিয়েল মি ইউ আই টি।
এই ইউ আই টি রিয়েল মি ইউ আই এর আসলটি থেকে কিছুটা হালকা হওয়ায় পারফরম্যান্স বেশি ভালো পাওয়া যায়। তবে অবশ্যই এর মেইন ইউআই থেকে বেশ কিছু ফিচার কম পাওয়া যাবে। মেইন ইউআইটি থাকলে হয়তো আরো ভালো হতো।
এখানে প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে Unisoc Tiger T612। এটি একটি অক্টা কোরের প্রসেসর এবং এটি সর্বোচ্চ ১.৮ গিগা হার্জ স্পিডে কাজ করতে পারে। প্রসেসরটির ট্রানজিস্টর সাইজ 12 ন্যানোমিটার। এখানে জিপিইউ হিসেবে থাকছে Mali-G57।
এই মোবাইল ফোনটি দিয়ে দৈনন্দিন যত রকমের কাজ আছে সবগুলো খুব ভালোভাবেই করা যায়। ৬ জিবি র্যাম থাকাতে মোটামুটি মানের মাল্টি টাসকিং করা যায় কোন রকমের কোন অসুবিধায় পড়তে হয় না।
এখানে সর্বোচ্চ জিবি পর্যন্ত আরো ভার্চুয়াল র্যাম ব্যবহার করা যায়। ভার্চুয়াল র্যাম ব্যবহার করে মাল্টিটাস্কং করার সময় কিছুটা অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যায়। ডিসপ্লেটিকে যথেষ্ট স্মুথ বলেও মনে হয়েছে।
গেমিং এর কথা বলতে হলে এটি একেবারে গেমিং সেন্ট্রিক কোন পাওয়ারফুল প্রসেসর নয়। রেগুলার ব্যবহার করার জন্য ঠিক আছে তবে আপনি যদি খুব বেশি গেম খেলেন তাহলে অবশ্যই এর পারফরম্যান্স আপনাকে খুশি করবে না।
এখানে পাবজি খেলা যায় সর্বোচ্চ এইচডি গ্রাফিক্স দিয়ে। এই গ্রাফিক্স এ হাই ফ্রেম সাপোর্ট করে। গ্রাফিক্স কমিয়ে নিলে ফ্রেম আরও একটু বেশি পাওয়া যায়। স্মুথ কিংবা ব্যালেন্স করলে আল্ট্রা ফ্রেমরেট সাপোর্ট করে।
গ্রাফিক্স কমিয়ে ব্যবহার করলে পাবজি তে প্লেয়াবল পারফরম্যান্স পাওয়া যায়। অন্যদিকে ফ্রি ফায়ার সর্বোচ্চ সেটিং এ প্লে করা যায়। ফ্রী ফায়ার সর্বোচ্চ সেটিং এ ব্যবহার করলে মোবাইলটি কিছুটা গরম হতে পারে।
Pubg একটানা বেশিক্ষণ খেলার সময় মোবাইলটি গরম হয়ে যায়। গরম হয়ে গেলে মোবাইলটিতে পারফরম্যান্স কমে আসে। গেম খেলার সময় তখন আরো বেশি ল্যাগ এর দেখা পাওয়া যায়।
কল অফ ডিউটি তুলনামূলকভাবে অপটিমাইজড গেম হওয়াতে এখানে এই প্রসেসর দিয়ে ভালোভাবেই খেলা যায়। ই-ফুটবল গেম টি কোন সমস্যা ছাড়াই খেলা যায়।
অন্যান্য যতো 2D গেম আছে সবগুলো কোন সমস্যা ছাড়াই খেলা যায়। অর্থাৎ শখের গেমার হলে আপনার জন্য এর পারফরমেন্স খুব একটা কষ্টকর মনে হবে না।
realme c53 এর ক্যামেরা কেমন
realme c53 স্মার্ট ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে রিয়ার প্যানেলে দুইটি ক্যামেরা। এখানে মেইন সেন্সরটি ৫০ মেগাপিক্সেলের এবং এর অ্যাপাচার f 1.8। অন্য ক্যামেরাটি একটি দুই মেগাপিক্সেলের ডেপথ সেনসর এবং এটির অ্যাপাচার f 2.4।
এই মোবাইলের ব্যাক ক্যামেরাটি দাম হিসেবে অন্যতম সেরা বলা চলে। এখানে ছবিগুলো খুবই চমৎকার ভাবে ফোকাস করা যাচ্ছে এবং ছবিগুলো অনেক বেশি কালারফুল মনে হয়েছে। পোট্রেট মোডে ছবি তোলার সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে খুব ভালোভাবেই ডায়নামিক রেঞ্জ ধরে রাখতে পারে।
ছবিতে হালকা পরিমাণে লাল কালার টিকে বেশি বলে আমাদের মনে হয়েছে। এছাড়া এর পোর্ট্রেট মোডের ছবিতে কিনারার এলাকাগুলো খুব ভালোভাবে ডিটেক্ট করতে পারে।
রাতের বেলা ছবিগুলো কিছুটা সফ্ট করে দেয়। তবে নাইট মোডে ছবি তুললে একটু ভালো আউটপুট পাওয়া যায়। এর পিছনের ক্যামেরাটি আপনাদের সকলকে আশা করি সন্তুষ্ট করবে।
পিছনের ক্যামেরাটি দিয়ে ভিডিও রেকর্ড করা যায় সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮০ পিক্সেলে ৩০ এসপিএস দিয়ে। ভিডিও করার সময় হালকা শেক করে মনে হচ্ছিল তবে এর ভিডিও পারফরম্যান্স আবার যথেষ্ট ভালই আছে দাম হিসেবে বিবেচনা করলে।
Realme এখানে ব্যবহার করেছে ফ্রন্টে টু অ্যাপাচারের একটি ৮ মেগাপিক্সেলের সেলফি শুটার। সেলফি ক্যামেরাটি ও মোটামুটি এভারেজ কোয়ালিটির ছবি দিতে পারে। এখানেও পোর্ট্রেট মোডের ছবিগুলো চমৎকার লেগেছে আমাদের কাছে। তবে ফেস স্মুথ অল্প পরিমাণে করে ফেলে।
realme c53 এর ব্যাটারি কত
Realme এখানে ব্যবহার করেছে 5000 মিলি এম্পিয়ারের বড় ব্যাটারি। এবং এখানে চার্জার হিসেবে আছে ৩৩ ওয়াটের একটি ফাস্ট চার্জার।
এই ফাস্ট চার্জারটি দিয়ে মোবাইল ফোন টিকে ফুল চার্জ করতে প্রায় এক ঘন্টা 10 থেকে 15 মিনিটের মত সময় লাগছিল। ফুল চার্জ একবার করার পর প্রায় দেড় দিনের কাছাকাছি সাধারণ ব্যবহার করে ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যায়।
এবং হেভি ইউজ করে অর্থাৎ একটা না গেম খেলে বা মুভি থেকে অথবা মাল্টিটাস্কিং করে আমরা ব্যাটারি ব্যাকআপ পেয়েছি প্রায় ছয় ঘন্টার কাছাকাছি।
Realme c53 এর অন্যান্য কিছু বৈশিষ্ট্য
১। Realme এই মোবাইল টিতে খুব ভালো মানের একটি স্পিকার ব্যবহার করেছে যার জন্য ফুল ভলিউম এও তেমন একটা সাউন্ড কোয়ালিটি ডিস্টর্ড হয় না। সাউন্ড কোয়ালিটি দাম হিসেবে খুবই ভালো বলা চলে।
২। Realme এর এই মডেলটি তে ওয়াইড ভাইন এল থ্রি এর ফুল অ্যাক্সেস নেই তাই আপনারা চাইলে এখানে ম্যানুয়াল ক্যামেরা অর্থাৎ জি ক্যাম ব্যবহার করতে পারবেন না।
৩। বক্স কন্টেন্ট হিসেবে আপনারা পেয়ে যাবেন মোবাইল ফোনের পাশাপাশি একটি টাইপ সি ইউ এস বি চার্জিং ক্যাবল, একটি তেত্রিশ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস, একটি সিম ইজেক্টর পিন এবং একটি ব্যাক কভার।
৪। এখানে সর্বোচ্চ আপনারা টু টেরাবাইট পর্যন্ত এক্সটার্নাল মেমোরি কার্ড এর সাপোর্ট পাবেন। তাই যাদের এক্সটার্নাল মেমোরি কার্ড ব্যবহার করার ইচ্ছা আছে তারা যথেষ্ট পরিমাণে বড় সাইজের মেমোরি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
৫। সিকিউরিটি হিসেবে এখানে সাইড মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর পাশাপাশি ফেস আনলক সাপোর্ট থাকছে।
৬। ওয়াই ফাই টু গিগাহার্জ এবং ওয়াইফাই ৫ গিগা হার্জ উভয় ধরনের সাপোর্ট realme এখানে দিয়েছে।
৭। এখানে জাইরোস্কোপ সেন্সরটি বেশ ভালো উন্নত মানের ব্যবহার করা হয়েছে। তাই যারা গেমার রয়েছেন তারা খুব সহজেই জাইরোস্কপ সেন্সর ব্যবহার করে গেম খেলে বেশি মজা পাবেন।
Realme c53 কেনো কিনবেন
এই মোবাইলটি সর্বপ্রথম তাদেরকে কেনার পরামর্শ দেওয়া হবে যারা খুব ভালো দেখতে স্টাইলিশ একটি মোবাইল ফোন কিনতে চান। এটি বাইরে কোথাও ব্যবহার করার সময় এতটাই আকর্ষণীয় লাগবে যে সকলেই তাকিয়ে থাকবে।
বাজেট রেঞ্জের মোবাইল ফোন গুলোতে ডিজাইনের প্রতি খুব বেশি সাধারণত খরচ করা হয় না। কিন্তু রিয়েলমি এখানে খুব ভালো কাজ করেছে বলতেই হবে।
এখানকার ডিসপ্লেটিও চমৎকার লাগবে সকলের কাছে। এখানে ৩৩ ওয়াটের চার্জিং সাপোর্ট থাকায় তাড়াতাড়িও চার্জ করা যায়। মোটামুটি এভারেজ কোয়ালিটির পারফরম্যান্স পাওয়া যায়। এই মোবাইলের ক্যামেরাটিও ভালো।
তাই যারা টুকটাক ফটোগ্রাফি করেন এবং টুকটাক গেম খেলেন, পাশাপাশি আপনার খুব সুন্দর দেখতে স্টাইলিশ একটি মোবাইল ফোন দরকার হয়, তাহলে realme c 53 আপনার জন্য একটি অন্যতম সেরা চয়েজ হতে পারে।
Realme c53 কেনো কিনবেন না
Realme এখানে কোন ধরনের সেকেন্ডারি নয়েজ ক্যান্সলেশন মাইক্রোফোন ব্যবহার করেনি। ১৮০০০ টাকা প্রায় খরচ করার পরেও এই ছোট্ট একটা জিনিস না পাওয়ার আক্ষেপ অনেকেই করবেন।
এর ব্যাক ক্যামেরাটি যথেষ্ট ভালো হলেও এখানে কোন আলট্রা ওয়াইড ক্যামেরা সেন্সর নেই। এখানে একটি আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা দিলে এর ক্যামেরা পার্ট আরো বেশি স্ট্রং হত।
যাদের উদ্দেশ্য শুধু গেমিং করার জন্যই মোবাইল কিনবেন তারা realme c53 কিনবেন না। Realme এখানে যেই প্রসেসরটি ব্যবহার করেছে এটি আসলে সাধারণত আমরা ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দামের মোবাইলে দেখে থাকি।
১৫০০০ টাকা পার করে ফেললে এই প্রসেসর টিকে আসলে মানায় না যদিওবা প্রসেসরটি পারফরম্যান্স ভালোই করে। এখানে ডিসপ্লে রেজুলেশনটি অবশ্যই ফুল hd গ্লাস দেওয়া উচিত ছিল। ১৮ হাজার টাকায় শুধু এইচডি ডিসপ্লে এখনকার সময়ে মানানসই নয়।
সর্বশেষ মন্তব্য
Realme c53 বর্তমান বাজারের মূল্য হিসেবে আঠারো হাজার টাকায় অনেক ভালো একটি কম্পিটিটর । এজন্য এই মোবাইলটি যদি আপনার প্রয়োজনকে পূরণ করতে পারে এবং আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি কিনে ফেলতে পারেন।
তাই আর্টিকেলটি আবারো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এই মোবাইল ফোনটি কেনার আগে। অবশ্যই মার্কেটে গিয়ে নিজ হাতে ধরে দেখবেন মোবাইলটি আপনার পছন্দ হচ্ছে কিনা।
এই ধরনের আরও আর্টিকেল পাওয়ার জন্য আমাদেরকে নিয়মিত ভিজিট করুন। আমাদের সাথেই থাকুন।