আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। রিয়েলমি বাংলাদেশের খুব পরিচিত একটি ব্র্যান্ড। খুবই জনপ্রিয় এবং এদের ফোনগুলো বেশিরভাগই ভ্যালু ফর মানি প্রোভাইড করে।
আজকে আলোচনা করা হবে realme নারজো 50 নিয়ে। এই ফোনটি বাংলাদেশের মার্কেটে অফিসিয়াল ভাবে কত টাকায় পাওয়া যায় এবং আনঅফিসিয়াল ভাবে কত টাকায় পাওয়া যায় ,এই মোবাইল ফোনে কি কি আছে স্পিসিফিকেশন হিসেবে এবং দাম অনুযায়ী এই মোবাইলটি বাজেটে আপনার জন্য কেমন হবে তা জানার জন্য মনোযোগ দিয়ে পড়ুন আজকের এই আর্টিকেলটি।
রিয়েলমি নারজো 50 রিভিউ দেখুন
realme c55 price | গরিবের আইফোন | রিয়েলমি ফোনের দাম
Realme narzo 50 এর দাম কত
Realme এর এই মোবাইল ফোনটি দেশের বাজারে দুইটি ভেরিয়েন্টে পাওয়া যায়। ৪ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি রম এর ভেরিয়েন্টের দাম ১৭,৯৯৯ টাকা। এবং ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি রম এর ভেরিয়েন্টের দাম ১৯,৯৯৯ টাকা।
এছাড়া আনঅফিসিয়াল ভাবে এই মোবাইল ফোনটি 4 জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি রম এর দাম ১৬ হাজার টাকা। ৬ জিবি রেম ও ১২৮ জিবি রম এর দাম 19 হাজার 500 টাকা। দাম সামান্য কমবেশি হতে পারে বিভিন্ন স্থানভেদে শুধুমাত্র আন অফিশিয়াল কেনার সময়।
Realme narzo 50 এর লুকিং ও ডিজাইন কেমন
দুইটি কালার ভেরিয়েন্ট এ realme narzo 50 পাওয়া যায়। একটির নাম স্পীড ব্লু আর অন্যটির নাম স্পীড ব্ল্যাক। মোবাইলটির পিছনে আছে এক ধরনের টেক্সচার। ফলে সহজেই এতে দাগ পড়বে না এবং হাতের ছাপ খুব একটা বেশি পড়বে।
এর থিকনেস 8.5 মিলিমিটার এবং ওজন ১৯৪ গ্রাম প্রায়। মোবাইলটির নিচের দিকে আছে ইউএসবি টাইপ সি চার্জিং পোর্ট ৩.৫ মিলিমিটার হেডফোন জ্যাকের পোর্ট, প্রাইমারি মাইক্রোফোন এবং একটি স্পিকার গ্রিল। উপরের দিকে কিছুই নেই।
বামে আছে ডুয়েল সিম কার্ডের পাশাপাশি একটি অতিরিক্ত মেমোরি কার্ড ব্যবহার করার জন্য সিম কার্ড ট্রে। ডান পাশে আছে ভলিউম বাটন এবং পাওয়ার বাটন। পাওয়ার বাটনে আছে সাইড মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।
এর ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর কথা বলতে গেলে এটি ছিল এক কথায় খুবই ফাস্ট। টাচ করার সাথে সাথেই প্রায় আনলক করে ফেলতে পারে এবং কোন ধরনের এনিমেশন জনিত ডিলে খেয়াল করিনি আমরা। ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ভলিউম বাটনের পজিশন আমাদের কাছে ঠিকঠাকই মনে হয়েছে।
মোবাইলটির পিছনে পাবেন ত্রিপল সেটআপ ক্যামেরার স্কয়ার দেখতে একটি ক্যামেরা হাউস। এখানে তিনটি ক্যামেরার সাথে আছে একটি ফ্লাশ লাইট। ক্যামেরায় হাউস টি সামান্য উঁচু এজন্য একটি ব্যাক কভার ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে না হলে এখানে দাগ পড়ে যেতে পারে।
Realme narzo 50 এর ডিসপ্লে কেমন
Realme এর এই মডেলের মোবাইল ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৬.৬ ইঞ্চি সাইজের একটি বিশাল বড় ডিসপ্লে। এই ডিসপ্লেটির রেজুলেশন ফুল এইচডি প্লাস। এটি একটি আইপিএস এলসিডি প্যানেলের ডিসপ্লে।
এবং এখানে আরো পাবেন ১২০ হার্জের রিফ্রেশ রেট এর সাপোর্ট। ডিসপ্লেটির পিক্সেল ডেনসিটি ৪০০ পিপিআই। ডিসপ্লেটিভ ডিজাইন পাঞ্চ হোল কাট আউটের। পাঞ্চ হোল কাট আউটটি বামদিকে অবস্থিত। ডিসপ্লের চিন এবং বেজেল এরিয়া দাম অনুযায়ী ঠিকঠাক আছে।
ডিসপ্লেটি দেখতে খুবই সুন্দর। এটি আইপিএস এর একটি ডিসপ্লে হওয়ায় ন্যাচারাল কালার পাওয়া যায়। কালার গুলো খুবই কনট্রাস্টটি। এবং পিক্সেল ডেনসিটি বেশি হওয়ায় এখানে শার্পনেস জনিত কোন ঘাটতি নেই।
ডিসপ্লেটিতে পর্যাপ্ত ব্রাইটনেস থাকায় আউটডোরে খুব ভালোভাবে ব্যবহার করা যায়। লো ব্রাইটনেস জনিত সমস্যা এখানে নেই।
১২০ হার্জ রিফ্রেস রেট থাকায় ডিসপ্লে টি ব্যবহার করার সময় খুবই স্মুথ লেগেছে। এখানে কোন ধরনের টাচ লেটেন্সি খেয়াল করা হয়নি। ডিসপ্লেটি দাম হিসেবে সবারই ভালো লাগবে।
Realme narzo 50 এর ক্যামেরা কেমন
Realme এর এই মডেলের মোবাইল ফোনে পিছনে আছে তিনটি ক্যামেরা। যেখানে মেইন ক্যামেরা হিসেবে আছে ৫০ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা। এই মেইন ক্যামেরা samsung এর তৈরি একটি সেন্সর। এবং এই সেন্সরটির অ্যাপাচার f 1.8।
অন্য দুইটি ক্যামেরা হল ২ মেগাপিক্সেলের করে ডেপথ এবং ম্যাক্রো। পিছনের ক্যামেরা কোয়ালিটি এর কথা বলতে গেলে এর মেইন সেন্সর টি দিয়ে দিনের আলোতে ভালো ছবি পাওয়া যায়। ছবিগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কালার বুস্ট করে।
ছবিগুলোর ডায়নামিক রেঞ্জ ভাল ছিল। ডিটেইলও ভালো পাওয়া যায়। কখনো ছবিগুলোকে একটু বেশি লাল লাল কালারের মনে হচ্ছিল। রাতের বেলা ছবিগুলো একটু সফ্ট মনে হয়।
এখানে থাকা ম্যাক্রো সেন্সর টি মাত্র ২ মেগাপিক্সেলের হওয়াতে এখানে খুব ভালো শার্প ছবি পাওয়া যায় না । তবে এখানে ফোকাস খুব সহজেই করা যায়।
সামনে ব্যবহার করা হয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের একটি f 2.1 অ্যাপাচারের সেলফি শুটার। এর সেলফি গুলো কালার বুস্ট করে। যেটাকে অনেকটা সোশ্যাল মিডিয়া রেডি টাইপ ছবি বলা যায়।
যারা ন্যাচারাল ছবি পছন্দ করেন তাদের খুব একটা ভালো নাও লাগতে পারে। এমনিতেই ক্যামেরা হিসেবে এই 16 মেগাপিক্সেলের সেন্সরটি ভালই ছবি তোলে। পোর্ট্রেট তোলার সময় সাইড এরিয়াগুলো ভালোভাবে ডিটেক্ট করতে পারে এবং ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লারিং ন্যাচারাল মনে হয়েছে।
দুই দিকের ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও রেকর্ড করা যাবে ১০৮০ পিক্সেল এ ৩০ fps এ। ভিডিও সামান্য কাপাকাপি করে। এজন্য হাত স্টেডি করে ভিডিও রেকর্ড করতে হবে।
Realme narzo 50 এর পারফরম্যান্স কেমন
Realme নার্জো ফিফটি এই মোবাইল ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে এন্ড্রয়েড ১১ এবং realme এর নিজস্ব কাস্টমই realme ui 2.0। এখানে প্রসেসর হিসেবে আছে MediaTek Helio G96।
এটি একটি অক্টা কোরের প্রসেসর। এটি সর্বোচ্চ ২.০৫ গিগাহার্জ স্পিডে কাজ করতে পারে। এই প্রসেসরটির ট্রানজিস্টর সাইজ ১২ ন্যানোমিটার। এখানে জিপিও হিসেবে আপনারা পাবেন Mali-G57 MC2।
এই মোবাইলের র্যাম এর টাইপ হলো lpddr4x এর র্যাম। এবং ইন্টার্নাল মেমোরি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ইউএফএস ২.১ ক্যাটাগরির স্টোরেজ। ইউএফএস ক্যাটাগরি স্টোরেজ থাকায় এখানে বাড়তি স্পিড পাবেন করবেন ডাটা ট্রান্সফার করার সময়।
মিডিয়াটেক এর পক্ষ থেকে এই প্রসেসরটিতে দৈনিক কাজ করার সময় কোন ধরনের কোন সমস্যা পাওয়া যায়নি। এখানে র্যাম ম্যানেজমেন্ট ভালো থাকাতে মাল্টি টাস্কিংও সুন্দরভাবে করা যায়।
অনেকেই এটিকে গেমিং প্রসেসর মনে করতে পারে তবে এর আগের জেনারেশন এর যে প্রসেসরটি ছিল হিলিও জি ৯৫ , তার থেকে জিপিইউ এর পারফরম্যান্স সামান্য কম তবে এটাকে পার্থক্য বলে মনে হবে না, অলমোস্ট একই রকম মনে হবে।
ছোটখাটো সকল রকমের গেম খুব আরাম আয়েসে খেলতে পারবেন কোন অসুবিধা পাবেন না। পাবজি খেলার সময় সর্বোচ্চ গ্রাফিক্স এইচডি দিয়ে হাই ফ্রেম রেটে খেলতে পারবেন। তবে গ্রাফিক্স কমিয়ে নিলে ফ্রেম রেট আল্ট্রা পর্যন্ত দিতে পারবেন।
Pubg খেলার সময় এখানে খুব ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যায় যদিও বা অনেকক্ষণ প্রায় দেড় ঘন্টা বা দুই ঘন্টা ধরে গেম খেলার পর মোবাইলটির ক্যামেরার দিক থেকে গরম হতে খেয়াল করা যায় তবে এটি হিটিং পর্যায়ের কোন সমস্যা না।
অল অফ ডিউটি খেলার সময় মিডিয়াম গ্রাফিক্স দিয়ে হাই ফ্রেম রেটে খেলতে পারবেন। এটি তুলনামূলকভাবে pubg থেকে অপটিমাইজড গেম হওয়ায় এখানে আরো ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যায়। কল অফ ডিউটি অনায়াসে খেলে মজা করতে পারবেন।
ফ্রী ফায়ার আল্ট্রা গ্রাফিক্স দিয়ে হাই ফ্রেম রেটে বা সিক্সটি এফপিএস দিয়ে খেলা যায়। ফ্রি ফায়ারে আমরা খুব ভালো স্মুথ পারফরম্যান্স পেয়েছি। ফ্রী ফায়ার লাভার যারা আছেন তারা এর পারফরমেন্স নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট হবেন।
ই-ফুটবল বা পেস খেলার সময় হাই ফ্রেম রেট দিয়ে ৬০ fps দিয়ে খুব ভালো ভাবে খেলা যায়। ashphalt 9 গেমটি ভালোভাবে খেলা যায় এবং ভালো মানের গ্রাফিক্স এই গেমে পাওয়া গিয়েছে।
পারফরমেন্সের কথা অভারঅল বিবেচনা করতে গেলে এটিকে একটি গেমিং ফোন বলা যায়। বিশেষ করে যারা শুধু গেমিং করার উদ্দেশ্যে এরকম বাজেট থেকে মোবাইল কিনতে চাচ্ছেন তারা এর ৬ জিবি র্যাম এর ভ্যারিয়েন্ট টিকে কিনবেন।
৪ জিবি র্যাম ভ্যারিয়েন্ট এ হুটহাট ল্যাগ পেতে পারেন তবে ৬ জিবিতে আরো ভালো পারফরম্যান্স পাবেন। এছাড়াও এখানে সর্বোচ্চ ৫ জিবি পর্যন্ত ভার্চুয়াল র্যাম ব্যবহার করা যায়।
Realme narzo 50 এর ব্যাটারি কত
রিয়েলমি narzo ৫০ মোবাইল ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে পাঁচ হাজার মিলি এম্পিয়ারের বড় ব্যাটারি। এবং এর সাথে বক্সের মধ্যেই পাবেন তেত্রিশ ওয়াটের একটি ফাস্ট চার্জার। এই চার্জারটি দিয়ে মোবাইল ফোন থেকে শূন্য থেকে ১০০ পর্যন্ত ফুল চার্জ করতে সময় লাগে প্রায় এক ঘন্টা 10 থেকে 15 মিনিটের মত। এর ব্যাটারি নন রিমুভেবল- লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি।
ফুল চার্জ করার পর একটানা হেভি ইউজ করে বা গেম খেলে কিংবা ভিডিও দেখে এখানে ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যায় প্রায় 6 ঘন্টার মত। এবং আপনি যদি নরমাল ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে প্রায় দেড় দিনের মতো ব্যবহার করতে পারবেন।
এখানে অটো রিফ্রেশ রেট থাকায় যদি এটাকে অটো মুড করে দেন তাহলে এটি সিচুয়েশন অনুযায়ী ফোরটি ফাইভ সিক্সটি,নাইনটি এবং ১২০ হার্জ এ চলবে। তখন ব্যাটারি ব্যাকআপ আরো বেশি পেতে পারেন। আর যদি সর্বদা ১২০ রিফ্রেশ রেট দিয়ে ব্যবহার করেন তাহলে ব্যাটারি ব্যাকআপ আরো কম পেতে পারেন।
Realme narzo 50 এর অন্যান্য কিছু বৈশিষ্ট্য
১। এই ফোনের ডিসপ্লে তে পাবেন ওয়াইড ওয়ান L1 এর সাপোর্ট ফলে OTT প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ফুল এইচ ডি ভিডিও স্ট্রিম করতে পারবেন।
২। এখানে ক্যামেরা টু এপিআই এনাবল করা আছে ফলে ভবিষ্যতে চাইলে এখানে জি-ক্যাম করা করা যাবে
৩। স্পিকার পারফরমেন্স ভালোই লাগবে। ফুল ভলিউম তেমন ডিষ্টরশন নেই। সাউন্ড হালকা কমিয়ে ব্যবহার করলে আরো ভালো শোনাবে।
৪। এখানে ডুয়েল ফোরজি সাপোর্ট করে।
৫। এই স্মার্টফোন থাকছে ডুয়েল ব্যান্ড ওয়াইফাই সাপোর্ট।
৬। ফেস আনলক এর সুবিধা আছে এবং এটিও দ্রুত কাজ করে। otg সুবিধা থাকায় এখানে মাউস এবং কিবোর্ড লাগিয়ে চালাতে পারবেন এবং অন্যান্য ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ব্যবহার করতে পারবেন।
Realme narzo 50 কেনো কিনবেন
Realme narzo 50 মোবাইল ফোনটি অফিসিয়াল ভাবে কিংবা আনঅফিসিয়াল ভাবে যে বাজেটে পাওয়া যাচ্ছে এই বাজেটে এই রকমের পাওয়ারফুল প্রসেসর দিয়ে ফোন খুব একটা নেই বললেই চলে। এখানে ভালো মানের ডিসপ্লে পাবেন ভালো পারফরম্যান্স পাবেন ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপ পাবেন এবং ফাস্ট চার্জার থাকায় তাড়াতাড়ি ও চার্জ করতে পারবেন।
Realme এর ইউ আই বাগ ফ্রি বলা চলে। এখানে কোন ধরনের সফটওয়্যার জনিত ইস্যু পাবেন না। সফটওয়্যারের দিক থেকে ভালো এক্সপেরিয়েন্স পাবেন।
Realme narzo 50 কেনো কিনবেন না
আপনি যখন প্রায় ১৬ থেকে ২০ হাজার টাকা বাজেটের ফোন কিনবেন তখন সেখানে কোন সেকেন্ডারি নয়েজ ক্যান্সলেশন মাইক্রোফোন থাকবে না সেটা অবশ্যই একটি বড় দুর্বলতা। এখানে ডুয়েল স্পিকার ব্যবহার করলে আরো ভালো সাউন্ড পাওয়া যেত।
সর্বশেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলে রিয়েলমি narzo 50 সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ভুলত্রুটি হলে পাওয়া গেলে আমাদেরকে অবশ্যই জানাবেন আমরা তা পরবর্তীতে সংশোধন করে দেবো। মোবাইলটি কিনবেন কিনা সেটা ডিসাইড করার আগে অবশ্যই ভেবে নিবেন আপনার সাথে এই মোবাইলটি যায় কিনা।
এই রকমের আরো আর্টিকেল পড়ার জন্য নিয়মিত আমাদেরকে ভিজিট করুন।