আইটেল মোবাইল প্রাইস a60s | আইটেল A60s রিভিউ, দাম, প্রাইস, আইটেল মোবাইল বাংলাদেশ প্রাইস

আইটেল মোবাইল প্রাইস a60s | আইটেল A60s রিভিউ, দাম, প্রাইস,

 

আইটেল মোবাইল প্রাইস a60s | আইটেল A60s রিভিউ, দাম, প্রাইস, আইটেল মোবাইল বাংলাদেশ প্রাইস

 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ৷ আজকে সকলের সামনে আইটেলের নতুন লঞ্চ হওয়া একটি মোবাইল নিয়ে বিস্তারিত রিভিউ, দাম, পারফরম্যান্স ইত্যাদি আলোচনা করা হবে এই পোস্টে। মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেলটি পড়ুন ভালোভাবে বুঝতে।

রেডমি নতুন ফোন | redmi 12c

 

realme c55 price | গরিবের আইফোন | রিয়েলমি ফোনের দাম

 

১৫ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল ২০২৩

আইটেল কে আমরা সকলেই কম দামে ভালো মোবাইল বিক্রি করার জন্য বেশি চিনে থাকি৷ আইটেলের বেশির ভাগ মোবাইল ১০ হাজার টাকার নিচেই হয়ে থাকে৷ আজকে তেমনি একটি মোবাইল নিয়ে কথা বলবো৷ সম্প্রতি ঈদুল আজহায় ২০২৩ এ মোবাইলটি লঞ্চ হয়েছে৷

 

আইটেল A60s প্রাইস বা দাম

আইটেলের এই মডেলটি বর্তমান বাজারে বাংলাদেশের সকল স্থানে টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এটি শুধু একটি ভ্যারিয়েন্ট এ লঞ্চ হয়েছে ৪/৬৪ জিবি মেমোরির৷ মোবাইলটির বর্তমান বাজার মূল্য বা দাম ৮৯৯০ টাকা।

 

আইটেল A60s এর লুকিং

আইটেলের এই মডেলটি ২ টি কালার ভ্যারিয়েন্ট এ মার্কেটে এসেছে৷ একটির নাম হলো Glacier green, অন্য আরেকটির নাম Shadow Black. এই মোবাইল ফোনটিতে রয়েছে ডোরাকাটা ডিজাইন ব্যাক সাইডে৷ যা দেখতে অনেকটা বর্গাকৃতির।  এটি অবশ্যই আশা করা যায় আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে৷ ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয়েছে এটি সকই বয়সী মানুষের ভালো লাগবে৷ তবে এর কালো রঙের টি অবশ্যই ছেলেদেরকে বেশি ভালো মানাবে৷ এর সামনে রয়েছে ওয়াটার ড্রপ নচ ডিস্পেলে৷ যা ২০২৩ সালে এসে কিছুটা বেমানান মনে হলেও দাম কম হওয়ায় কম্পানি এখানে তেমন ইনভেস্ট করে নি। তারা চাইলে পাঞ্চ হোল ডিসপ্লে দিতে পারতো।

এর পিছনে আরো আছে চারকোনা শেপের গোল কর্নারের ক্যামেরা বাম্প। এখানে দুইটি ক্যামেরার সাথে একটি ফ্ল্যাশ লাইট আছে।ক্যামেরা মডিউলে ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর আছে। এর উপরে আছে হেডফোন জ্যাকের পোর্ট। ডানে আছে ভলিউম বাটন এবং পাওয়ার বাটন। নিচে আছে মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট,মাইক্রোফোন,স্পিকার। বামে রয়েছে সিম কার্ড ট্রে। পিছনের ব্যাক প্যানেলটি প্লাস্টিকের তৈরি এবং এটি কিছুটা স্ক্র্যাচ প্রুফ।

 

 

আইটেল A60s এর ডিসপ্লে

আইটেলের a60s মোবাইল ফোনটির ডিসপ্লে হিসাবে আছে ৬.৬ ইঞ্চি সাইজের একটি বিশাল আকারের ডিসপ্লে। এই ডিসপ্লের রেজুলেশন হচ্ছে এইচ ডি প্লাস। বড় ডিসপ্লে হওয়াতে ভিডিও কনটেন্ট দেখে অনেক ভালো লাগবে। এখানে ব্যবহার করা হয়েছে রেগুলার ৬০ হার্জের ডিসপ্লে। মোবাইলটির ব্রাইটনেস ইনডোরে ভালো থাকলেও আউটডোরে কিছুটা স্ট্রাগল করে।

সরাসরি সূর্যের আলোয় দেখতে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া ডিসপ্লের কালার কোয়ালিটি ভালোই ছিলো। আশা করি ডিসপ্লে প্যানেল টি সকলের ভালো লাগবে।

এখানে ডিসপ্লের প্রোটেকশন হিসেবে কোনো শক্তিশালী কোনো কিছু ব্যবহৃত হয় নি তাই একটি ভালো মানের স্ক্রিন প্রোটেক্টর ব্যবহার করার সাজেশন থাকলো৷ আর ডিস্প্লের রেজুলেশন কম থাকায় শার্পনেসের ঘাটবি অনুভব করবেন যদি এর আগে আপনি ফুল এইচডি কোনো ডিস্পেলে দেখে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন৷ এর চিন এবং বেজেল এরিয়া দাম হিসাবে আপনার ভালো লাগবে৷

 

আইটেল A60s এর ক্যামেরা

আইটেল A60s এর রেয়ার এ ব্যবহার করা হয়েছে ডুয়েল ক্যামেরা সেট আপ। মেইন ক্যামেরার রেজুলেশন ৮ মেগাপিক্সেল এবং সাথে থাকছে একটি QVGA ক্যামেরা। মেইন ক্যামেরার ছবিগুলো দাম অনুযায়ী এভারেজ কোয়ালিটির।এখানে পোট্রেট মোডে এজ খুব বেশি ভালো ডিকেক্ট করতে পারে না৷ এবং ব্লারনেস ও অতটা ভালো মানের না৷ শক্ত হাতে ছবি তুলতে হবে নাহলে ব্লার হয় ছবিগুলো৷ এখানে আরও ইমপ্রুভমেন্ট আনা যেত ।

তবে ফ্রন্ট ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেল হিসাবে খুবই ভালো ছিল। এর সেলফি গুলো খুবই সুন্দর লাগবে যে কারো।দাম হিসাবে ওভারঅল এর ক্যামেরা মাঝামাঝি মানের।

 

আইটেল A60s এর পারফরমেন্স

আই টেল A60s মোবাইলে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ১২ এর গো এডিশন । Ram হিসাবে থাকছে ৪ জিবি এবং ইন্টারনাল মেমোরি হিসাবে থাকছে ৬৪ জিবি । প্রসেসর হিসাবে এখানে ব্যবহার করা হয়েছে UniSoC SC9863A। যার ট্রানজিস্টর সাইজ ২৮ ন্যানো মিটার। এই প্রসেসরটি কে এন্ট্রি বাজেটের প্রায় ম্যাক্সিমাম ফোনে ব্যবহার করা হয়। এটি কোনো খুব বেশি পাওয়ার ফুল প্রসেসর নয়। তাই এটি দিয়ে হেভি গেমিং করা সম্ভব নয়।এতে জিপিইউ হিসাবে আছে PowerVR GE8322।

এমনিতে স্বাভাবিক রেগুলার যেসকল কাজে মোবাইল আমরা ব্যবহার করি যেমন টুকটাক ফেসবুক,ইউটিউব, ইমো, হোয়াটস অ্যাপ ইত্যাদি ভালোভাবেই ব্যবহার করা যাবে তবে খুব বেশি প্রেসার দিয়ে কাজ করলে টুকটাক ল্যাগ এবং ফ্রেম ড্রপ এর দেখা পাবেন। একদম বেসিক গেমিং যেমন টুকটাক সাবওয়ে সার্ফার, টেম্পল রান এই ধরনের হালকা গেম ভালোভাবেই খেলতে পারবেন ।

হালকা পাতলা ফ্রি ফায়ারও খেলা যাবে তবে খুব বেশি সময় ধরে খেললে অবশ্যই পারফরমেন্স ড্রপ করবে। ৪ জিবি র্যাম থাকায় ব্যাকগ্রাউন্ড এ মোটামুটি ৩ থেকে ৪ টি অ্যাপ রেখে অনায়াসে কাজ করতে পারবেন।

আইটেল A60s এর ব্যাটারি

 

আইটেল A60s এ থাকছে ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার এর বড় ব্যাটারি। এটি লিথিয়াম পলিমার নন রিমুভেবল। ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার এর ব্যাটারি থাকায় নরমাল ইউজ এ সারাদিন ধরে ফোনটি চালাতে পারবেন । আর একটানা খুব বেশি প্রেসার দিয়ে কাজ করলে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ইউজ অনুযায়ী ব্যাক আপ পাবেন। এই মোবাইলে খুব বেশি ব্যাক গ্রাউন্ড ব্যাটারি ড্রেইনিং পাবেন না। যা পাবেন তা খুবই নরমাল।

ফোনটিতে পাবেন ১০ ওয়াট এর চার্জিং সুবিধা। এই ১০ ওয়াট এর চার্জার দিয়ে চার্জ করতে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টার মত সময় লাগবে শূন্য থেকে একশ পার্সেন্ট চার্জ করতে। যা আপনার জন্য কিছুটা কষ্টকর হতে পারে।

আইটেল এ60s এর অন্যান্য কিছু বৈশিষ্ট্য

 

১। আই টেল A60s  এ থাকছে ডুয়েল ফোর জি সাপোর্ট। এতে ব্যবহার করা যাবে ডুয়েল ন্যানো সিমের পাশাপাশি একটি মেমোরি কার্ড।

২। এর পিছনের ফিঙ্গাপ্রিন্ট সেন্সর টি মোটামুটি ভাবে ফাস্ট এবং একুরেট । তবে হালকা এনিমেশন ডিলে আছে জন্য সামান্য সোলো মনে হতে পারে।

৩। এখানে অ্যান্ড্রয়েড গো ভার্সন থাকাতে ফুল ভার্সন এর মজা পাবেন না। কিন্তু গো ভার্সন থাকায় পারফরমেন্স ভালো পাবেন। ফুল ভার্সন এর অ্যান্ড্রয়েড দিলে এই ফোন আরো বেশি ল্যাগ করতো এবং ইউআইটি অনেক ভারী হয়ে যেত।

৪। এখানে এফএম রেডিও এর সাপোর্ট পাবেন ।পাশাপাশি প্রক্সিমিটি সেন্সর ও অ্যাক্সিলারোমিটার এর সাপোর্ট।

৫৷ এখানে ৪ জিবি মূল র‍্যামের সাথে আরও পাবেন ৪ জিবি ভার্চুয়াল র‍্যাম ইউজ করার সুবিধা।

৬৷ এর ওজন প্রায় ২০৫ গ্রাম এবং থিকনেস ৮.৫ মিলিমিটার৷

৭। আইটেলের এই মোবাইল ফোনটিতে ২৫৬ জিবি পর্যন্ত মেমোরি সাপোর্ট করে৷

৮৷ এর সাউন্ড কোয়ালিটি ঠিকঠাক পাবেন কিন্তু সাউন্ড সর্বচ্চ দিয়ে শুনলে সাউন্ড ফাটা ফাটা শুনবেন বলে মনে হবে৷

৯৷ এখানে এই ফোনের ইউয়াই তে কিছু ব্লটওয়ার আছে যেগুলোর সব গুলো আনইন্সটল করা যায় না৷ ইউআইটিতে টুকটাক অ্যাড ও দেখা যায়।

 

 

আইটেল A60s কাদের জন্য

 

যেসব মানুষ এন্ট্রি বাজেটে একটি সেরা ফোন কিনতে চাচ্ছি সাধারন ব্যবহারের জন্য তাদের জন্য নি:সন্দেহে এটিই সেরা৷ কারন এই মোবাইল ফোনটিতে মাত্র ৮৯৯০ টাকায় যা কিছু অফার করছে তা অন্য কোনো ব্রান্ডের ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। ৪ জিবি র‍্যাম, ৬৪ জিবি রম, ৫০০০ mah এর বড় ব্যাটারি, ভালো কোয়ালিটির ডিস্পেলে, সুন্দর ডিজাইন ইত্যাদি কারনে এটিই সেরা ফোন৷

যারা কোনো হেভি গেমিং এর কাজ করেন না, এমনিতে সুন্দর দেখতে একটি ফোন কিনতে চাচ্ছেন, রেগুলার ফেসবুক, ইউটিউব সহ অন্যান্য সোশাল মিডিয়া চালাবেন এবং মাঝারি মানের একটা ক্যামেরা হলেই চলবে তাদের জন্য এই মোবাইল ফোনটি৷

 

আইটেল A60s কারা কিনবেন না

 

যারা খুব বেশি হেভি ইউজ করেন বা গেম খেলবেন সারাদিন তারা এই মোবাইল টি কিনবেন না৷ আপনারা আরো বেশি বাজেট করে আরও বেশি শক্তিশালী প্রসেসর দেখে ফোন কিনবেন৷ আর এই মোবাইল দিয়ে যদি হেভি গেমিং এর ইচ্ছাও করে থাকেন তাহলে আপনি গেমিং করে কোনো শান্তি পাবেন না৷

এর ল্যাগ এত বেশি পাবেন একটানা ভারী গেম খেলার সময় যা আপনার গেমিং এক্সপেরিয়েন্স কে মাটি করে দিবে৷ আর এখানে পাবজি, কল অফ ডিউটি এই ধরনের গেম ইন্সটল করতে পারবেন তবে এগুলো খুব ভারী গেম হওয়াতে ভালো মত চলবে না৷ এবং এতে করে ফোনটি খুব দ্রুত গরম হবে এবং ফোনের আয়ু খুব দ্রুত কমে আসবে। তাই যারা উরাধুরা গেমিং করবেন তারা এই ফোন কিনবেন না৷

Hello! I’m Razwan, a dedicated Content Writer 2 years of hands-on experience.

Leave a Comment